ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২৪। ২০১০ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। যদিও বাংলাদেশে সেটা হতে সময় লেগেছে আরও ৪ বছর অর্থাৎ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে।১৯১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের (এফআইপি) প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয় তাই আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল সম্মেলনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।এফআইপি-র সদস্য সংগঠনগুলো সহ সারা বিশ্বজুড়ে ফার্মাসিস্টরা উদযাপন করে থাকে৷

আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ প্রথমবারের মত এই দিবসটি পালন করে। এরপর থেকে প্রতিবছর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন ফার্মেসী পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকাসহ বড় বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে উৎসাহের সঙ্গে র‌্যালি ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, সেমিনার ও বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পালনের মাধ্যমে দিবসটি নিয়মিত পালন হয়ে আসছে।আর এর আগে বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিস্টদের পালনের জন্য বিশেষায়িত কোনো দিবস ছিল না।ফার্মাসিস্ট নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের মধ্যে এখনও ভিন্ন মতের চর্চা রয়েছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা ফার্মাসিস্ট মানেই ওষুধ বিক্রেতা। ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা শুধুই কী তাই? মূলত একজন ওষুধ বিক্রেতা হলেন ফার্মেসি টেকনিশিয়ান, যেখানে ৩ মাসের কোর্স করে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসাবে সার্টিফিকেট পান। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে এখানেও এর ভিন্নতা রয়েছে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন পেশায় কাজ করা মানুষ ৩-৪ মাসের ওষুধের দোকানে কাজ শিখে অর্থাৎ ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে হয়ে যাচ্ছে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। আবার কোনো কোনো ওষুধের দোকানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চলে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ। আবার বিক্রেতাদের কেউ কেউ নিজেই রোগের কথা শুনে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা ছাড়াই দিচ্ছেন নানা রোগের ওষুধ, রোগীরাও সাদরে সেই সেবা গ্রহণ করে চলেছেন। তারা ৩-৪ মাসের ওষুধ বিক্রির প্রাকটিক্যাল ধারণা থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে বনে যাচ্ছেন ফার্মাসিস্ট হিসাবে! মূলত এখানে কাজ করেছে উভয়পক্ষের সচেতনতার অভাব।

একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কথায় আছে ‘একজন ডাক্তার ভুল করলে একজন রোগী মারা যাবে কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে জাতি বড় একটি সংখ্যা হারাবে।’ একজন ফার্মাসিস্ট ওষুধ প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে, ওষুধের এর গুণগতমান নির্ধারণ, ওষুধ নির্ধারণ, ডোজ নির্ধারণ কিংবা ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকেন। একজন ফার্মাসিস্টের হাতেই পরোক্ষভাবে তৈরি হয় হাজারো মানুষের সুস্থতা এবং সুন্দর জীবনের গল্প। তবে একজন ফার্মাসিস্টের গল্প আমরা ক'জন জানি? জানলেই বা সেইটা কতটুকু?

একজন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট দেশের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সূর্য আকাশে ওঠার আগেই যেই মানুষটি নিজেকে ফার্মাসিউটিক্যালসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেন, তিনিই একজন ফার্মাসিস্ট। ঋতুবদলের ভিন্নতায় শীতের সকালে কুয়াশার চাদর ঠেলে নির্দিষ্ট সময়ে ফার্মাসিউটিক্যালসে পৌঁছে যাওয়া মানুষটি একজন ফার্মাসিস্ট। নিজেকে প্রটেক্ট করা থেকে শুরু হয়ে নির্ধারিত সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় তার জীবনযুদ্ধ।

দীর্ঘ সময় কাজ শেষ করে, ওভার টাইমের জন্য কখনো কখনো সুযোগ হয় না সূর্য দেখার, তবুও লক্ষ্য একটাই, দেশের মানুষের জন্য নিজের সবটুকু শ্রম দিয়ে অসুস্থ মানুষের নানা হাসির গল্প তৈরি করা। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে একজন ফার্মাসিস্টের এমন জীবনের অসংখ্য বাস্তবতা। ওষুধে জীবন দেওয়া ফার্মাসিস্টরা শুধু ওষুধ তৈরি করেই বসে নেই, তারা দূর্গম থেকেও দূর্গম প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন ওষুধের সেবা। তবুও তাদের সন্মান পরিপূর্ণতা পায় না। পায় না একজন ফার্মাসিস্ট যথাযথ মূল্যায়ন।

একজন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রধান দায়িত্ব ওষুধ প্রস্তুতকরণ। তবে একজন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ব্যপ্তি নিশ্চয়ই এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। ফার্মেসির বাকি সেক্টর গুলোতে ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছু বিষয় আলোকপাত করা যাক। ফার্মাসিস্টদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল দায়িত্বের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হসপিটাল ফার্মেসি পরিচালনা করা। রোগী অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আসবে, চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোগ বিবেচনা করে ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ দিবেন।

অন্যথায় কোন ডোজের ওষুধ রোগীর জন্য প্রযোজ্য, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী হতে পারে তা নিরূপণ করা কঠিন। স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, নার্স ও টেকনোলজিস্টের সমন্বয়ে রোগীর চিকিৎসা হওয়াটা সঠিক পদ্ধতি। কিন্তু আমাদের দেশে চিকিৎসক, নার্স এবং টেকনোলজিস্ট দ্বারা চিকিৎসা সেবা চললেও নেই ফার্মাসিস্টদের সাথে সমন্বয়। গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা একপ্রকার অবহেলিত এক্ষেত্রে।

ওষুধের ডোজ কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে বিস্তর ধারণার অভাবে একজন রোগীর নানা রকম শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমান চিকিৎসা সেবায় চিকিৎসকের পর নার্স দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্যই একজন নার্সের পক্ষে ওষুধের বিষদ নিরূপণ কখনো সম্ভব নয় কিংবা হবার কথাও নয়। সুতরাং ওষুধের মান বিবেচনার ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট এর বিকল্প ভাবাই যায় না।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটটা এর চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। খুব কম মানুষই জানেন এর বাইরেও ফার্মাসিস্টদের বহুমুখী ক্ষেত্র আছে। দেশ এগোচ্ছে, এখন সময় আরেকটু বিশদভাবে জানার। যারা কোনো সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে বি ফার্ম (ব্যাচেলর অব ফার্মেসি) পাস করে থাকেন, তাদের বলা হয় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বা এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট।

এসব ফার্মাসিস্টের ফার্মেসি কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ থেকে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হয়ে থাকে, যা পরবর্তী কর্মজীবনে দরকার হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে থাকে।আর আমরা খুব ভালো করেই জানি, উন্নততর জীবনের জন্য, সমৃদ্ধ জাতির জন্য চাই সুস্থ ও সাবলীল মানুষ, চাই চেতনাস্নিগ্ধ আলোকিত ঋদ্ধ মানুষ। একটি সুন্দর সাবলীল জীবনের জন্য সুস্থ থাকা অনিবার্য। জীবনের অনন্ত চাহিদার মাঝে সুস্থতাই প্রথম চাওয়া। মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

স্বাস্থ্যসেবাকে রাষ্ট্রের অন্যতম করণীয় হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) অনুসারে জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব এবং অনুচ্ছেদ ১৮(১) অনুসারে জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

বর্তমানে দেশে জনগণ সরকারি ও বেসরকারি খাতে যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে তা পরিসর ও গুণগত মানের দিক থেকে আরো উন্নীত করা প্রয়োজন। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১-র মূলমন্ত্র ছিল ‘সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা’। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফার্মেসি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফার্মেসিকে একটি পেশাগত বিষয় এবং ফার্মাসিস্টদের পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার ও নার্সের ভূমিকা যেমন অপরিসীম, ঠিক তেমনিভাবে ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগত মান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ভূমিকাও অপরিহার্য।

গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা নিজেদের পেশাগত দক্ষতা দিয়ে ওষুধশিল্পে (উৎপাদন, মাননিয়ন্ত্রণ, মানের নিশ্চয়তা বিধান, গবেষণা ও উন্নয়ন, বিপণন, উৎপাদন পরিকল্পনা, ডিসপেন্সিং, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ারস, বিজনেজ ডেভেলপমেন্ট ও রপ্তানি) সরকারি সংস্থায়, বেসরকারি হাসপাতালে, কমিউনিটি ফার্মেসিতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ওষুধশিল্পের বিকাশে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং ১৮২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা দেশের বড় ওষুধ কম্পানিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন।আর আমরা।

বর্তমান বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ওষুধ উৎপাদন হয়। যা দেশের অভ্যন্তরে ৯৮ শতাংশ ওষুধ চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এই শিল্পের এত উন্নতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ফার্মাসিস্টদের। একমাত্র ফার্মাসিস্টরাই পারে একটি দেশের ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ নামক শব্দটা নিয়ে আসতে। এই ওষুধ শিল্পে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে A-গ্রেড ফার্মাসিস্ট। উন্নত বিশ্বের সাথে যদি আমরা বাংলাদেশের A-গ্রেড ফার্মাসিস্টদেট অবস্থান তুলনা করি, তাহলে দেখতে পাব যে, সেই সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এদের অবস্থান খুবই নগণ্য।

উন্নত বিশ্বে A-গ্রেড ফার্মাসিস্টরা এমবিবিএস ডাক্তারের পাশাপাশি রোগীর স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ওষুধ সম্পর্কিত উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে এসব ক্ষেত্রে A-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের খুব কমই লক্ষ করা যায়। এদেশে A-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের বেশিরভাগই লক্ষ করা যায় ওষুধ ফ্যাক্টরিতে কর্মরত অবস্থায় আছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে মোট ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিষয়টি পড়ানো হয় এবং সেখান থেকে প্রায় চার হাজার গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট প্রতি বছর পাস করে বের হন। তাদের একটি বড় অংশ ওষুধ শিল্পে কাজ করেন, বাকিরা অন্য পেশায় চলে যান বা বেকার থাকেন। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের মূল কর্মক্ষেত্র হাসপাতাল ফার্মেসি সার্ভিস, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি সার্ভিস ও রিটেইল ফার্মেসি সার্ভিসে তাদের নিয়োগ দিলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে।

পরিশেষে বলতে চাই, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রাণ হলো ফার্মাসিস্ট ভাইবোনেরা। একজন ফার্মাসিস্টের কর্মক্ষেত্র শুধু ওষুধ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানে নয় বরং ওষুধ নিয়ে গবেষণামূলক কাজ, ঔষধ প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ করে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ, পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ এমনকি মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপের উদ্যোক্তাও হতে পারে। ফার্মাসিস্ট ভাই বোনদের পরিশ্রম এবং কর্ম-সততার ওপর নির্ভর করছে দেশের সিংহভাগ রোগীর আরোগ্য। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, অনুদান সংস্থা সকলেই প্রস্তুত উন্নত ওষুধ সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু এই কর্মযজ্ঞ তখনই সফল হবে যখন ফার্মাসিস্টগণ এগিয়ে আসবে উন্নত ওষুধ সেবা আন্দোলনের কাণ্ডারি হিসেবে—দেশ এবং জনগণের কাছে নিরাপদ ওষুধ সেবা পৌঁছে দেবে, সফল করবে এই মহান আন্দোলন, এটাই কাম্য।আর আজ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসে একটি কথাই বলতে চাই- বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা ছড়িয়ে দিতে এবং একটি পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের জ্ঞান, শিক্ষা ও দক্ষতা এ দেশের ওষুধশিল্প খাতকে যেমন উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাবে, তেমনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। আর এটাই হচ্ছে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।