আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি : দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসানের কার্যালয় তৃতীয় দফায় ঘেরাও করল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ডাক্তার নাজমুল এর পদত্যাগের দাবিতে কার্যালয়ের সামনে  বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। পরে সিভিল সার্জন ফোনে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলায় আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে পৌর বাজার চৌরাস্তা হতে মিছিল নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের এক দফা পদত্যাগ দাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্হান নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, নাজমুল ডাক্তার এক জায়গায় ৮ বছর চাকুরির সুবাদে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম,লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের লোকজনের সাথে আঁতাত করে চাকরির নামে নিয়োগ বাণিজ্যের করে টাকা লুটপাট করেছে।

অফিস সূত্রে জানা যায়,১২ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে সাত দিনের ছুটির আবেদন করেছে।তারপরে আবার ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি নিয়েছে।

গোপন সূত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা জানতে পারেন ২১ সেপ্টেম্বর ডা. নাজমুল হাসান এক সপ্তাহ ছুটি শেষ করে পুনরায় হাসপাতালে যোগদান করে বিএনপি দুই নেতাকে ম্যানেজ করে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আসে। এ সংবাদের ভিত্তিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা ফের বিক্ষোভ মিছিল করেন। তার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডা.তানজিন জাহান জিনিয়া বলেন,বিক্ষোভকারীরা আমার কাছে এসেছে। স্যারের সাথে কথা বলেছে, স্যার তাদের আশ্বস্ত করেছে নাজমুল স্যার কে এখানে পাঠাবে না।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, ডা. নাজমুল হাসান আর আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে চাকরিতে যাবেন না।

উল্লেখ্য গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাক্তার নাজমুল হাসানের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।ঐদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।

ফের গত ১২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের দাবিতে হাসপাতাল ঘেরাও করার কথা শুনে ১২ সেপ্টেম্বর ৭ দিনে ছুটি নেয়।

(টিইউ/এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪)