সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চিরকুট লিখে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকালে পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার সুমন খানের মেয়ে ও গ্রীস প্রবাসী অন্তর মিয়ার স্ত্রী সানজিদা বেগম (১৮)। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত উল্লাহ।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে পঞ্চবটি এলাকার আলকাছ মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়ার সাথে প্রেম করে বিয়ের করেন সানজিদা। বিয়ের পর অন্তর বিদেশ চলে গেলেও মেনে নেয়নি তার পরিবার। এদিকে বিদেশ গিয়ে অন্তরের স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও তাদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। এমনকি মৃত্যুর আগে সানজিদা একটি চিরকুট লিখে ছিলেন। সেখানে লিখা ছিলো আমার স্বামী আমাকে অবহেলা করে। তার সাথে আমার যেকোন আলোচনায় ঝগড়া হয়। আমি তার অবহেলা সহ্য করতে পরছিনা। এছাড়া মনের কিছু দুঃখের বিষয়ে লিখে আজ সোমবার সকাল ৬টায় বাবার বাড়িতে নিজ ঘরে সানজিদা আত্মহত্যা করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে নিহতের পিতা সুমন খান বলেন, মেয়ের পছন্দে অন্তরের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তার পরিবার আমার মেয়েকে মেনে নেয়নি। প্রাবসে থেকেও অন্তর ফোনে প্রায় সময় আমার মেয়ের সাথে বাজে আচরণ করতো। স্বামী ও তার পরিবারের অবহেলা সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের জামাইন অন্তর ও তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, প্রবাসী স্বামীর সাথে নিহত সানজিদার বনিবনা হতো না। চিরকুট থেকে এমনটাই বুঝতে পেরেছি। খবর পেয়ে সানজিদার মরদেহ তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহদের পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪)