সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরশহরের মধ্য বাজারে এক শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে। আশংকা জনক অবস্থায় রফিকুল ইসলাম সহ ৬ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৮ থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে। কেন্দুয়া মধ্য বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবগত হয়ে রাত নয়টা ১৭ মিনিটের সময় সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি সামলে দেন। 

জানা যায়, কেন্দুয়া মধ্য বাজারের ২৭২ দাগের এক শতাংশ জমি ২০১৩ সালে খরিদ করেন বলে দাবি করেন দিগদাইর গ্রামের আলামিন খন্দকার। তিনি মন্নাফ তালুকদার সহ অন্যান্যদের কাছ থেকে এক শতাংশ জমি খরিদ করে নামজারি করে ফেলেন। কিন্তু এই জমি দখলে নিয়ে নেয় কেন্দুয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মৃত আয়াত আলীর ছেলে জুবায়ের। একই জমি জুবায়ের নামেও রেজিষ্টি করা আছে বলে জানা যায়। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরেই জুবাইয়ের মালিকানা দাবি করে দখলে নিয়ে নেয় এই জমি।

আলামিন খন্দকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে ওই জমি দখল নিতে পারিনি। কারণ সে সময় জুবায়েরকে সহযোগিতা করেছে আওয়ামীলীগ নেতারা। আলআমিন বলেন, গতকাল বুধবার আমার খরিদ করা জমির দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পর বাট্টা গ্রামের বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে কেন তালা লাগিয়েছি? তালা খুলে না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কিন্তু আমি তালা খুলে দেইনি। পরে তারা তালা ভাঙ্গার পর আমার ও জসিম উদ্দিনের লোকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষ চলাকালে পৌরশহরের মধ্য বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। রাত ৯ টা ১৭ মিনিটের সময় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মদন থেকে সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি সামলে দেন। বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলছেন সেনা সদস্যরা এ সময় না আসলে সংঘর্ষে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে জসিম উদ্দিন ভূঞার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের লোকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। এখনও বৈঠক চলছে।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪)