সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকার ঘোড়া দিঘী পাড়ে লাগানো শতাধিক নারকেল, সজনে ও পেঁপে গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃতরা। ৩ বছর আগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ঘোড়া দিঘীর পাড়ে ৫০টি নারকেলের চারা ও সম্প্রতিক সময়ে ৬১টি পেঁপে ও বেশ কিছু সজনে গাছ রোপন করে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এঘনায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বুধবার রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।  ঘোড়া দিঘীটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের অংশ। 

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ষাটগম্বুজ মসজিদ ও জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ জানান, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের অংশ ঘোড়া দিঘীটির আয়তন ৪০ একর। ১৫ শতকে এই দিঘীটি খনন করেছিলেন হযরত খানজাহান (রহ.)। দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক নিয়মিত মসজিদ-দিঘীসহ হযরত খানজাহানের (রহ.) নির্মিত অনন্য সব পুরাকীর্তি দেখতে আসেন বাগেরহাটে। এখানে দিঘীর পাড়ে বসে মুগ্ধ হন তারা। মূলত সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এই দিঘীটির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির রোপন করা হয়েছিল। নিয়মিত পরিচর্যায় নারকেল গাছগুলো বড় হতে শুরু করে, পেঁপে গাছে ফল ধরে। হঠাৎ গত মঙ্গলবার রাতে দিঘীর দক্ষিণ পাড়ের নারকেল ও পেঁপে গাছগুলোকে কে বা কারা বিনষ্ট করেছে। এই ঘটনার আমাদের বিস্মিত করেছে। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং বাগেরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪)