রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা বাজারে রাতের আঁধারে হরি মন্দির ও কালী মন্দিরে নির্মিতব্য দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী গ্রামের নিশিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সঞ্জিত ভারতের পশ্চিবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত সোমবার বিভিন্ন মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হলে সঞ্জিত বিশ্বাসের ছবি দেখে তার বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২) জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান যে, আটক ব্যক্তি তার ছেলে। সঞ্জিত মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রায় ২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেক দিন ছিলেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরেন। এর মধ্যে প্রায় ৪ বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সঞ্জিত, আর বাড়িতে ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সঞ্জিত বিশ্বাসকে গত রোববার রাত ৮টার দিকে আটক করে জিডির ভিত্তিতে সন্দেহজনক ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর শ্রী অঙ্গনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের এক সভায় ভাঙ্গায় মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোকছেদুর রহমান উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, 'ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দির ও কালী মন্দিরে নির্মিতব্য দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। মন্দির কতৃপক্ষ মামলা করতে চাচ্ছেন না।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মোকছেদুর আরো জানান, সঞ্জিত বিশ্বাস ছাড়া এই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হননি। তবে পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে, এমন ঘটনার সাথে কারও সম্পৃক্ততা পেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।’

এই ঘটনার মন্দির কতৃপক্ষের কেউ মামলা করতে আসলে মামলাটি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪)