তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায়  ১৬১ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রুমি, কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা গাউস সিকদার, জামাল সিকদার, আসলাম শেখ, হেদায়েত ফকির, মিজান সিকদার, শরিফুল সিকদার, মাহাবুব মোল্লা, কুশলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা কাজী জোনায়েদ সিদ্দিক সহ বর্নি ও কুশলী ইউনিয়নের ৬১ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আহম্মেদ আলী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার কর্মসূচি ছিল। ওই দিন বিকাল ৪ টায় তার গাড়ি বহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। পরে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ফিরে যান।

এদিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে স্বাগত জানাতে কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজারে অবস্থান করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তখন ঘোনাপাড়ার হামলার ঘটনাটি জানাজানি হলে কুশলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাবু খান রক্তাক্ত জখম হন। এছাড়া এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর তোরণ ফেস্টুন ভাংচুর করে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আহম্মেদ আলী বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছেন। এঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

(টিবিব/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪)