আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় রাজনৈতিক দলের সাথে সাংবাদিকদের মামলায় জড়ানোর ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। ইতোমধ্যে যে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে তা তদন্তে দোষী প্রমানিত না হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার কিংবা কোনরূপ হয়রানি না করতে সরকারের প্রতি আহবান করা হয়েছে। 

গতকাল সোমবার সকালে বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে প্রেরিত ই-মেইল বার্তায় সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এ দাবি করে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যেসব মামলায় হয়রানির উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের আসামি করা হয়েছে সেইসব সাংবাদিকরা এখন পেশা ও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের জামিনও মিলছে না। অনেকের ঘরবাড়ি-অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়েছে। মামলা ও হামলাকারীদের ভয়ে পরিবার-পরিজনের খোঁজ খবরটুকুও নিতে পারছেনা। প্রায় দুই মাস ধরে এ সকল হয়রানির শিকার সাংবাদিকের পরিবারগুলোর অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন।

আহমেদ আবু জাফর আরও বলেছেন, জুলাই এবং আগস্টে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যেসব মামলা দায়ের হয়েছে, সেইসব স্পর্শকাতর মামলায় দেশের বিভিন্ন এলাকার শত শত নিরীহ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে; যা সাংবাদিক সমাজকে চরম উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। বিবৃতীতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রের যেকোন সংকটকালে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, ভিডিও এবং ছবি তুলে তা প্রকাশ করেছেন। এটা তাদের পেশাগত দায়িত্ব এবং কাজ। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেনো জ্বালাও-পোড়াওসহ মানুষ হত্যার মত স্পর্শকাতর মামলায় সাংবাদিকরা কেন আসামি হবেন।

তাই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দাবি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে তদন্তে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে হয়রানি করা যাবেনা মর্মে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হোক। মামলার শিকার সাংবাদিকরা পুনরায় যেন তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ফিরতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪)