একে আজাদ, রাজবাড়ী : পদ্মায় পানি কমতে থাকায় স্রোতের তীব্র্রতায় রাজবাড়ী জেলা শহর ও বেড়ি বাঁধের নিচে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চারটি পয়েন্টে ধ্বস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধে তলিয়ে যাওয়ায় পানিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি অংশ ধ্বসে যায়। এছাড়া প্রতিরক্ষা বাঁধের আরো চারটি অংশে পানির নিচ থেকে ঢালাই সিসি ব্লক ধ্বসে গীয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের উপরের অংশে ফাকা ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী বেঁড়ি বাঁধ, স্কুল, মসজিদ ও কয়েকশো পরিবার ভাঙন হুমকিতে পরেছে।

রাজবাড়ী জেলার শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ রক্ষায় ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়েকশো কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৭ কিলোমিটার অংশ তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত কয়েক বছরে পদ্মা নদীর ভাঙনে এ তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশির ভাগ অংশই নদীতে বিলীন হয়। ভাঙন অংশে বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিপিপি প্রনয়ন করে বাঁধের ভাঙন অংশ মেরামত করা হয়। পদ্মায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির ফলে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ পানিতে নিমজ্জিত হলে এ বাঁধের চারটি অংশে সিসি ব্লক ধ্বসে গীয়ে ভাঙন স্থান স্পষ্ট হয়ে উঠে।পানি কমতে থাকায় সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা, পূর্ব উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষিকোল ভাঙনস্থান গুলো আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। এসব এলাকার প্রায় দুইশো মিাটারেরও বেশি সিসি ব্লক ধ্বসে নদী গর্ভেবিলীন হওয়া স্থান দেখতে পাওয়া যায়।

এদিকে গত চার পাঁচদিন ধরে নদীতে স্রোতের তীব্রতায় একই এলাকার কয়েকটি স্থানে ১২০ মিটার এলাকা নদীর নিচ থেকে সিসি ব্লক সরে গীয়ে এখানকার তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা ঝুকিতে পরেছে।এতে বেড়ি বাঁধ সহ এসব এলাকায় থাকা স্কুল, মসজিদ ও কয়েকশো বাড়ি ঘর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।ভাঙ্গন ঝুকিতে পরেছে ৭ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের আরো বেশ কিছু এলাকা। ঝুঁকি বিবেচনায় শুধু পূর্ব উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিলো অপ্রতুল।

স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকায় তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের নিচ থেকে ব্লক সরে গীয়ে উপরের অংশের সিসি ব্লক ফাঁকা হয়ে যায়। কিছু কিছু ব্লক নদীতে ধ্বসে গেছে। এতে এসব এলাকা ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে।ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত বালু ভর্তি বস্তা ফেলা জরুরী বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তবে যেখানে বস্তা ফেলা শুরু করেছে,এখানে তা যথেষ্ট নয়। অন্যান্য সিসি ব্লকের ফাকা স্থানে বালুর বস্তা ফেলে আগে থেকেই ঝুকি মেকাবেলা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শামীম বলেন, উর্দ্ধতন দপ্তরে ঝুকি পূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে কাজ বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠিয়েছেন। প্রকল্পের অভ্যন্তরে যেসল স্থানে সিসি ব্লকের ধ্বসে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সে সসকল স্থানও অন্তর্ভূক্ত আছে।প্রয়োজনীয় বাজেট পেলে অধিক ঝুকির স্থান গুলোর কাজ বাস্তবায়নের জন্য শুরু করবেন বলে জানান।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪)