বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়াচর হতে পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ফুলবাড়ি, ভোলাইএর চর হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত বানিয়ারচর খাল খনন প্রকল্পে ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বানিয়ারচর- খাল খনন প্রকল্পে ২০ ফুট পাশে সরকারি জায়গা থাকা সত্ত্বেও সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ,খালের দুই পাড়ের স্থানীয় ভূক্তভোগীদের আরও ৪০ ফুট বাড়িয়ে মোট ৬০ ফুটের খাল ২টি মাটি কাটা ভে্কু মেশিন দিয়ে নির্বিচারে খাল খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করছে শত শত পরিবারের বসত ঘর , উচ্ছেদ করছে হাজার হাজার গাছ পালা ও বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ পানির টিউবওয়েল। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি টাকার উর্ধ্বে।

এক ভূক্তভোগী প্রিতিশ বিশ্বাস জানান, উক্ত খাল খনন সম্পর্কে এলাকাবাসী জানে না, খাল খননের ব্যাপারে কোন জড়িপ হয়নি, খালের কোন পরিমাপ করা হয় নি। তিনি আরো জানান, এই খাল খনন প্রকল্পের ডিজাইন সহ সমস্ত কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হেড অফিসে বসেই করা হয়েছে। সরেজমিনে এসে খাল খনন প্রকল্পের কাজ করে নি।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং খালের নামে নির্ধারিত জায়গা ব্যাতিরেকে জনগণের জায়গার উপর দিয়ে খাল খননের কাজ বন্ধ করার দাবি জানান।

মাদারীপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সানাউল কাদের খান জানান, বানিয়ারচর খাল খনন প্রকল্প সম্পর্কে আমি এবং আমাদের অফিস কিছুই জানে না।

গোপালগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়নবোর্ডেরএক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, রিফাত জামিল ফোনে জানান, গত তিন বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর হেড অফিস, অত্র প্রকল্পে সমস্ত কাজ হেড অফিসে বসেই করে।তার কাছে অত্র প্রকল্প সম্পর্কে মাদারীপুর জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবগত করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিন নি।

আরো জানা যায় উক্ত খাল খনন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীরা মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে।

(বিডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪)