সোহেল সানী, পার্বতীপুর : ৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে আজ রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ২০০ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। এর জন্য প্রতিদিন দুই হাজার ২শ' মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক। ৩য় ইউনিটে অয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে গত ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদনে থাকা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি। ১নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও প্রতিনিদন উৎপাদন হচ্ছে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হচ্ছে। ফলে একই সাথে কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট উৎপাদনে থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন কিংবা লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার মে. টন কয়লা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় প্রায় ৪ বছর ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২শ' মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। তবে, আজ পর্যন্ত তিনটি ইউনিট একই সাথে কখনই চালানো সম্ভব হয়নি।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ২০০-২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সাথে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে। একসাথে দুই ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে।

(এসএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪)