শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে তার বাপের জমিদারি ভেবেছিল। যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কোন জবাবদিহিতা ছিল না। তার বিরুদ্ধে কথা বলা হলেই ঘুম, খনি ও আয়না ঘরে আটকে রেখে বছরের পর বছর নির্যাতন চালানো হতো। সাংবাদিকরা কোন কিছু লিখতে পারিনি। লিখলেই ডিজিটাল আইনে জেলখানায় ঢুডিয়ে দেওয়া হতো। এখন ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।

শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরে সফরে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে আহত শহরের রাজবাড়ী কাটাপাড়ায় আব্দুর রশিদের শিশু কন্যা ও তার পরিবার কে দেখতে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তিনি আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং শিশু কন্যাদের তিনি খোজ খবর নেন।

এ সময় আহত পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী।

এ সময় রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, আতিকুর রহমান, কৃষি বিদ মোকছেদল মোমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, আরিফুর রহমান তুষার, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহাম্মেদ কচি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সুলতানা বিউটিসহ জেলার নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দিনাজপুর সদর হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে আব্দুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আহত আব্দুর রশিদ। এ কারনে ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যা কে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এক নিকট আতœীয়ের কাছে দিয়েছিলেন আব্দুর রশিদের স্ত্রী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশু কন্যাকে মায়েরর কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে রুহুল কবির রিজভী দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির পাহাডপুরস্থ বাসভবনে ৫ই আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত গার্মেন্ট কর্মী বাবুর স্ত্রী শারমিনের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহত বাবুর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।

(এসএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪)