স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের চেরাগী মোড়ে গণেশ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা, খুলনায় প্রশাসনের উপস্থিতিতে কলেজ ছাত্র উৎসব মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশে বর্বরোচিত হামলা, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়ীঘর, মঠ মন্দিরে হামলা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হিন্দু ছাত্র মহাজোট।

গতকাল শনিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে হিন্দু ছাত্র মহাজোট এর সভাপতি সজিব কুন্ডু তপুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ পল্লব দাস, দপ্তর সম্পাদক সজীব চন্দ্র দাস, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক টিম্পল পাল, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক শুভজিৎ বিশ্বাস, সবুজ দত্ত, সুমন পাল, শুভজিৎ চক্রবর্তী, অমিত শীল, বাসুদেব চন্দ্র দাস, হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার পাল, বিভাগীয় সাংগঠণিক সম্পাদক বিশ্বনাথ মোহন্ত, হিন্দু মহিলা মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা রাণী দাস প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, গত ৫ তারিখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়নের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়ী ঘর ও মঠ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে। গতকাল চট্টগ্রামের চেরাগী মোড়ে গণেশ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা হয়। যা নিয়ে হিন্দু সমাজ চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে দেশের হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে হামলা করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মিথ্যা মামলায় শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম স্বৈরাচারী সরকারের বিদায়ে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বন্ধ হবে, কিন্তু তা হয়নি। খুলনায় উৎসব মন্ডলকে পরিকল্পিতিভাবে ফাঁসিয়ে তার উপর হামলা হয়েছে। সে নিহত হয়েছে এমন সংবাদও প্রচারিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা সহ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা সকল ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার চাই। একইসঙ্গে দেশে সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতীয় সংসদ সহ সর্বক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূর্নবহাল ও একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় চাই। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের গেম খেলতে ব্যস্ত। সে কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যাতে হিন্দুদের ভিকটিম বানিয়ে ফায়দা লুটতে না পারে এবং হিন্দুদের মনোবল শক্ত করতে একজন সংখ্যালঘু বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪)