সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : পরিবারের সদস্যদের জিম্মিকরে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য খোরশেদ উদ্দিন বাদশাকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে নেতকোনা আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেত্রকোনা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফের নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে খোরশেদ উদ্দিন বাদশা কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়ের মজলিশপুর গ্রামের কোবাদ আলীর বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৬ জনের নাম প্রকাশ করে। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেংগাবর গ্রামে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর কাইউম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে খোরশেদ উদ্দিন বাদশা ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত দাবি করে আরও ৬ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। এই সব নাম যাচাই বাচাই করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে খোরশেদ উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতিসহ আরও ১০টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সময়ে খোরশেদ উদ্দিন বাদশা চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার গভীর রাতে কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের কোবাদ আলীর বাড়ির ‘আকন্দ ভিলার’ দেওয়াল টপকিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ৬/৭ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণগাতী মোড় এলাকায় জনতার হাতে আটক হয় বাদশা। এ ঘটনায় কোবাদ আলীর ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খোরশেদ উদ্দিন বাদশাকে ৪ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ কালে ডাকাত দলের সদস্য বাদশা পুলিশের কাছে আরও ৬ জনের নাম প্রকাশ করে। তার বক্তব্য আদালতে ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

(এসবিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪)