সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের শহিদী মর্যাদা দিয়ে তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান। তিনি জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত কেন্দুয়ার দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে শনিবার দুপুরে আর্থিক সহায়তা প্রদান কালে এ দাবি করেন তিনি।

রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তারা শহিদ মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ভাতা পাচ্ছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছে তাদেরকেও শহিদী মর্যাদা দিতে হবে এবং চালু করতে হবে নিয়মিত ভাতা।

এজন্য তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট এ দাবি জানান। কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে তোফাজ্জল (২০) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে ভালুকার জৈনা বাজার এলাকায় র্ববোরচিত হামলায় নিহত হন। নাজমুল হাসান তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তোফাজ্জলের মা হারেছা খাতুনের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।

অপর দিকে ১৮ জুলাই উত্তরা আজমপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আসন আলীর ছেলে আলী হোসেন। স্ত্রী ও তিন কন্যা রেখে যান পান সিগারেট বিক্রেতা আলী হোসেন। তার স্ত্রী খাইরুনেচ্ছার হাতেও শনিবার নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। এসময় তিনি সরকার তথা সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।

(এসবিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪)