একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে আলোচিত সহকারী শিক্ষিকা পূরবী ইসলাম (৪৫) হত্যা মামলাটি'র পুনঃ তদন্ত চেয়েছেন নিহত শিক্ষিকা পূরবী ইসলামের বোন মহারাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা নুশরাত জাহান লিমা।  

স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মামলাটি'র পুনঃ তদন্ত ও সঠিক বিচার পাওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে প্রকাশ করেন।

নুশরাত জাহান লিমা বলেন, ২০২২ সালের ৮ ই এপ্রিল শুক্রবার রাতে পূরবী ইসলাম এর স্বামী কোলা সদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন একই স্কুলের আরেক সহকারী শিক্ষিকা ছামিরুন নেছার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সবাই জানাজানি হয় একারণে আমার বোনের সাথে ফরহাদ হোসেনের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো আমার বোনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা সহ বেধরক মারধর করেন এবং মৃত্যুর আগের দিন তাকে মারতে মারতে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে রাখেন। ঘটনাটি ওই এলাকার প্রতিবেশীরা দেখেছেন।

আমার বোনের স্বামী ফরহাদ আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত অবস্থায় দেখা যায় হাতের আঙুল ভাঙ্গা গলার উপরে কালো দাগ শরীরের বিভিন্ন স্হানে ক্ষত চিহ্ন ব্যাপক মারধোর ও শ্বাসরুদ্ব করে হত্যার পরে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।

এই আলোচিত মামলাটি রাজবাড়ী -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজি কেরামত আলী মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ধামাচাপা দিয়েছেন বলে আমরা জানতে পারি। আমার ভাই মেহেদি হাসান রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা নং ১৯/১৬১ তাং ০৯/০৪/২০২২ইং ধারা ৩০৬ পেনাল কোড রাজবাড়ী সদর থানার নারী শিশু নির্যাতন মামলা নং ২১/ তাং ৭/৬/২২ ইং দায়ের করলে অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্ট মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান।

দুই মামলয়া চার মাসের মত জেল খাটেন উক্ত ফরহাদ জেলে থাকা অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মদদে জেলে বসেই রাজবাড়ী সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। নিহতের বোন আরো জানান আওয়ামী লীগের এমপি কেরামত আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশের কর্মকর্তা ও সদর হাসপাতালের ডাঃ হান্নানের যোগসাজশে অভিযুক্ত ফরহাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ময়না তদন্তের রির্পোটসহ মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন।

আমার বোনের হত্যাকারীর উপযুক্ত শাস্তি এবং ন্যায় বিচারের জন্য আমরা শিক্ষকরা মানবন্ধন সমাবেশ করি । তৎকালীন দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে আইজিপি বরাবর অভিযোগও দিয়েছিলাম তাতে কোন কাজ হয়নি।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন নেতার কারণে আমার বোন হত্যার কোন সুবিচার পাইনি এখন যেহেতু দেশ ও আদালত স্বাধীন এখন আমরা উচ্চ আদালতে পূর্ণ তদন্তে মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু দেশ ও আদালত স্বাধীন এখন আমরা উচ্চ আদালতের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করি।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪)