আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশে গত চার মাসে (মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব দুর্যোগের মধ্যে ছিল ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা। সবচেয়ে বেশি ৫৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সাম্প্রতিক বন্যায়। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি শিশু স্বাস্থ্যগত ও মানসিক নানা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মাথা গোঁজার আশ্রয় হারিয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তা, মাঠ-ঘাট ও ফসলি ক্ষেত।

ইউনিসেফ ছাড়াও দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর জোট ইন্টার কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ ও হিউম্যানিটারিয়ান টাস্কফোর্স টিম বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ বন্যাকবলিত ১১টি জেলায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে খাওয়ার পানির উৎস, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, পাঠদান কক্ষসহ বেশির ভাগ অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউনিসেফ বলছে, অংশীজন সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে।

২০ আগস্ট থেকে দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বের ১১টি জেলায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। এর সঙ্গে উজানের ঢল মিলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সর্বশেষ জানিয়েছে, বন্যায় ৫৪ জন মারা গেছে। বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ফেনীতে, ১৯ জন।

ওসিএইচএর হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫৯ লাখ। এ সংখ্যা বছরের অন্য যে কোনো দুর্যোগে সর্বোচ্চ। এ বছর প্রথম বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রিমাল। গত ২৬ মে এটি উপকূলে আঘাত হানলে ৪৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩১, ২০২৪)