মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে এক দফা বাদী আদায়ের লক্ষে কোটা বিরোধী সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ৬ জন ছাত্রকে পুলিশ-ছাত্রলীগ গুলি ও পিটিয়ে নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন,  মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজাদ নগর ও জাহাজমারা ইউনিয়নের সাধারন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

১৮ জুন (বৃস্পতিবার) সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের চেওয়াখালী বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও শাটডাউন অনুষ্ঠিত হয়।

আজাদ নগর থেকে ৫ শতাধিক সাধারন শিক্ষার্থী সকাল ১০ টায় মিছিল বের করে রামগতি, সুবর্ণচরের চেওয়াখালীবাজারসহ একাধিক হাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চেওয়াখালী এসে শেষ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আহসান উল্লাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাফির হোসেন শান্ত প্রমুখ অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরাধীন পাশা, মোঃ শামীমসহ অনেকে।

প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্য শেষে আজাদ নগর বাজারে ১ ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে প্রতিবাদরত সাধারন শিক্ষার্থীরা এসময় তারা "লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারো বাপের না, চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, দালালীনা রাজ পথ রাজ পথ রাজ পথ, আপোষ না সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম, আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই, ছাত্র সমাজ দিচ্ছে ডাক কোটা প্রথা নিপাত যাক" সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। এতো সুবর্ণচর-সদরসহ পার্শ্ববর্তি রামগতি, রামগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীরাও অংশ গ্রহন করে।

বক্তারা বলেন, অতি দ্রুত ছাত্রদের ১ দফা দাবি কোটা বাতিল করতে হবে, পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত সকল শিক্ষার্থীকে হত্যাকারিদের গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে, সেই সাথে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যে সকল আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সেসকল শিক্ষার্থীর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, অন্যথায় পুরো দেশে ছাত্র আন্দোলন আরো জোরালে গতিতে তাদের দাবি আদায়ে লড়ে যাবে। আন্দোলনরত অবস্থায় যদি ছাত্রলীগ কিংবা কোন সংগঠন, পুলিশ বাহিনী অথবা সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটুয়া বাহিনী বাধা দিতে আসে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ও দাবী জানান তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্ররা ছাড়াও শতাধিক অভিভাবকও অংশগ্রহণ করে।

(আইইউএস/এএস/জুলাই ১৮, ২০২৪)