মহম্মদপুর প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেথড়ী গ্রামে এক গৃহবধূ (২১) কে ভ্যান থেকে নামিয়ে এ্যালেমের মোড়ে একটি পাট খেতে মধ্যে নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। 

মামলার এজহার নামীয় ২ নম্বর পলাতক আসামি হায়াতুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবককে আটক করে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।সে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউপির বেথড়ী গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মুন্সী রাসেল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার আসামি হায়াতুল ইসলাম(২০) কে,খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন চালনা বাজার তুলসী ঘাটস্থ পশুর নদীতে ভাসমান কার্গো জাহাজ “এমভি আল কুবা-২ মেসার্স হিরাঝিল নেভিয়েশন, এম-৭১৪৫” এর উপর থেকে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় আটক করে। এ ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে,মহম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯ তারিখ ৮ জুন।

উল্লেখ্য, ঘটনার রাতে ওই নারী আত্মীয় বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি ফেরার পথে-২বছর বয়সী তার শিশুকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেথড়ী গ্রামে এ্যালেমের মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে ১ নম্বর আসামি সহ অন্যান্য আসামিরা ওই গৃহবধূকে ভ্যান থেকে নামিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে পাশে একটি পাটের ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এমনকি তার শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বোরহান উল ইসলাম জানান, আটক আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

(বিএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২৪)