ইন্দ্রজিৎ সাহা, কালিয়াকৈর : গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব সাহেবাবাদ গ্রামে অখিল চন্দ্র সরকারের বাড়িতে এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চোরেরা অখিল চন্দ্র সরকারের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। পাঁচটি গরুর মধ্যে ২টি গাভী গরু ও একটি গাভীন গরু রয়েছে। দুইটি গাভী গুরু থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কেজি করে দুধ দোয়ানো হত এবং গাভীন গরুটি একমাস পরে বাচ্চা প্রসব করার কথা।

গতকাল সকালে অখিল চন্দ্র সরকারের বাড়িতে গেলে অখিল চন্দ্র সরকারের বৃদ্ধা স্ত্রী মেঝেতে হাউমাউ করে গড়াগড়ি করে কেঁদে কেঁদে এ কথা বলেন। আর বিলাপ করে বলছেন প্রতিদিন ৮-১০ কেজি দুধ বিক্রি করে সংসার চলত এখন কি করে সংসার চলবে?

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দিন দিন বেড়েই চলেছে গরু চোরের উপদ্রব। গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে কালিয়াকৈর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে। এর মধ্যে উপজেলার সাহেবাবাদ ও সাহেবাবাদ সংলগ্ন বৈরাগী ছানা গ্রামে থেকেই প্রায় ৩০ টির অধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে গরুর মালিকেরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েও গরু চোরের খাবার থেকে গরুকে রক্ষা করতে পারছেন না। গত কুরবানী ঈদের কয়েকদিন আগে বৈরাগী জেলার হারেজ আলীর গরু ও চুরি হয় এবং ঐএকই রাতে পাশের বাড়ি থেকেও তিনটি সহ মোট পাঁচটি গরু চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। গত সপ্তাহে কালিয়াকৈর থানার পুলিশের টহল টিমের অভিযানে উপজেলার ঢালজোড়া এলাকা থেকে রাত তিনটার দিকে গরু চুরি করে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও থেমে নেই গরু চুরির ঘটনা।

বৈরাগী চালা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শের বাহাদুর বলেন, আমিও গরু পালন করতাম কিন্তু চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ভয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি"। চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন,পুলিশ রাতে সর্বদা টহলরত আছে এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।

(আইএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২৪)