মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলাকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচাতে হলে পরিকল্পিতভাবে জেলার হাকালুকি হাওর, কাউয়াদিঘী হাওর, হাইল হাওর সহ জেলার ছোট-বড় হাওর, নদী, খাল-বিল খনন করতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ নেই। এছাড়াও জেলার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের বুড়িকিয়ারী বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন জেলার হাওর রক্ষা আন্দোলনের নেতারা।

সিলেট বিভাগের খাল-বিল ও হাওর খনন, হাওরে জলজ উদ্ভিদ রোপন ও বন্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে প্রচন্ড রোধ আর তীব্র গরম উপেক্ষা করে ঘন্টাব্যাপী চলে এই মানববন্ধন।

এসময় বক্তারা বলেন, বন্যা আসলে তাড়াহুড়া করে অস্থায়ী কিছু কাজ হয়। পরবর্তীতে আর কোনো কাজ হয়নি। কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ভুলে যান। মাঝে মধ্যে খননের জন্য বরাদ্দ আসলেও এ কাজ পরিপূর্ণভাবে করা হয়নি। হরিলুট হয়ে যায়। বন্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতাও নেই জেলায়।

মৌলভীবাজারের সাত উপজেলা সহ সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট বিভাগের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তারা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বাঁধকে দায়ি করে বলেন, হাওরকে ধ্বংস করার জন্য শিল্পপতিরা হাওরের মধ্যে কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছেন। আমরা জানতে পেরেছি ইতিমধ্যে তারা অনেক জায়গা কিনেছেন। হাওরের মধ্যে কোনো অবস্থাতে এ জেলার কৃষকরা কারখানা স্থাপন করতে দেবেন না।

সংগঠনের আহ্বায়ক আ স ম সালেহ সুহেল এর সভাপতিত্বে ও খসরু চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ, কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ন আহ্বায়ক কৃষক নেতা আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক হোসাইন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষ, মাওলানা মকবুল হোসেন খান, কৃষক নেতা লোকমান খান নবিন, সামছউদ্দিন মাষ্টার, হাকালুকি হাওর পারের কৃষক মো: এলাইছ মিয়া, মানিকুল ইসলাম রহম, কৃষক নেতা লায়েক আহমদ ও রেজাউল করিম বেগ।

(একে/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২৪)