রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য শেখ বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রতিবেশি মফিজুর শেখের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

হামলাকারিরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটে আসার দৃশ্য আগে ভাগে দেখতে পেয়েই ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবন বাঁচাতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।

সাংবাদিক শেখ বেলাল হোসেন জানান, প্রতিবেশি মফিজুল শেখ ও তার শরীকদের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। মফিজুল শেখের পরিবারের গৃহবধু নাজমুন্নাহার তার বাচ্চাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে আসে। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তিনি বেলাল) শেখ মফিজুরের বাড়ির উঠানের উপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নাজমুন্নাহারের বাচ্চাটি ছুটে তার কাছে আসলে ভাত খেয়ে মায়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে আসতে বলে তিনি বাড়ি চলে আসেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাজমুন্নাহার বাচ্চাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় ফতেমা খাতুন ফুটি তাদের বাড়িতে এসে নাজমুন্নাহারকে বাড়িতে আসতে বলেন। জমি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে যাবেন না বলায় ফুটি ক্ষুব্ধ হয়ে গালিগালাজ শুরু করে।

এসময় তার ছেলে ও স্ত্রী প্রতিবাদ করায় বেলালের পরিবারের কুপরামর্শে নাজমুন্নাহার চলে বলে অভিযোগ করে ফুটি। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হয়।

একপর্যায়ে ফুটি বাড়িতে যেয়ে খবর দিয়ে শেখ মফিজুর রহমান, শেখ মুনসুর আলী, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, খাদিজা খাতুন খোদে, ফতেমা খাতুন ফুটি হাতে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলার জন্য দৌড়ে উঠানে এলে তারা ঘরে ঢুকে পড়েন।

এ সময় হামলাকারিরা বলে যে, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ঘর থেকে বের হলেই খুন করে ফেলা হবে। দেখি কে তাদেরকে বাঁচায়।

একপর্যায়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান, শেখ সুলতানসহ কয়েকজন ছুঁটে আসায় হামলাকারিরা চলে যায়। এরপর থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা হামলাকারিদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন বেলাল হোসেন।

এ ব্যাপারে শেখ মফিজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(আরকে/এএস/জুলাই ১৪, ২০২৪)