মিরান মাতুব্বর, ভাঙ্গা : ফরিদপুরের সদরপুর থেকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ১০ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টার সময় উপজেলার শৈলডুবি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের নাউটানা নামক খালের একটি কচুরিপানার ভেতর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে নিখোঁজ হাসির মা সালমা বেগম উদ্ধার হওয়া লাশের পরনের পায়জামা, কোমরে থাকা একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় লাশটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর ওই নারীকে স্থানীয় একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

লাশ দাফনের খবর দেখে ৫ দিন পর ফোনে নিখোঁজ হাসি জীবিত আছেন বলে পরিবার কে জানায়। পরবর্তীতে হাসি সশরীরে ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে এসে জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর পর ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর এলকাল ইয়াদ আলী ব্যাপারীর নিখোঁজ মেয়ের লাশ দাবি করে আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহের নির্দেশ দেয়।

এরপরে আদালতের নির্দেশে ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ ও দীপ্ত চন্দ্র চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি টিম ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন আদালতের নির্দেশে আজ উত্তর শৈলডুবি কবরস্থান থেকে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। এরপরে স্যাম্পল মিলিয়ে পরিচয় সনাক্ত করা হবে।

(এমএম/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২৪)