স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আবারও বেড়েছে সুরমাসহ সব নদ-নদীর পানি। নতুন করে আবারও প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল। অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে ১৮ সেন্টিমিটার। এছাড়া, এর আগের দিন (৯ জুলাই থেকে ১০ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত) সুরমার এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ২২ সেন্টিমিটার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত ১৬ জুন পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক। পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন জেলার ৭ লাখ মানুষ। পরে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়। তার কিছুদিন পর গত ৩০ জুন থেকে আবারও টানা বর্ষণ হওয়ায় জেলার সব নদী ও হাওরগুলোতে পানি বেড়ে দেখা দেয় বন্যা। তলিয়ে যায় সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলার অনেক এলাকা। দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলা জুড়ে অন্তত ৫ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পরে ৯ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত সেই পানি কমে নদীর মাত্র ৪৪ সেন্টিমিটার নিচে নিমেছিলো। কিন্তু দুই দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আবারও নদ নদীর পানি বেড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে বর্ষা মৌসুম থাকে। সে ক্ষেত্রে দেশের সব নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ইতিমধ্যে দেশের ১৮টি জেলার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে দেশের উজানে অতিভারী বৃষ্টি ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

(ওএস/এএস/জুলাই ১১, ২০২৪)