আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের (পিএএ) নির্দেশে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী।

বুধবার (১০ জুলাই ) দিবাগত রাতে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড সরকারি ডিগ্রী কলেজের সামনে সৌদি প্রবাসী রবিউল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলামের বাড়িতে তাঁর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ৯ জুলাই দুপুরে গায়ে হলুদের আয়োজন শেষ করেন। পরের দিন বুধবার পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নে শেখর গ্রামে ওহাব মোল্লার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল মোল্লা'র সাথে বিবাহ হবে। এমন তথ্য গোপন সংবাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদার জানতে পেরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইয়াছমিন কে ফোনে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম ও আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক বিনয় বাড়ৈকে সঙ্গী ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটে যাচাই করে বয়স কম থাকায় বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

এদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বিয়ে করতে যাওয়া ওই পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল মোল্লার সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা এবং তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক বিনয় বাড়ৈ জানান, প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিবাহ দেওয়া যাবে না এই মর্মে মোবাইলে ভিডিওসহ স্বীকার উক্তি নেওয়া হয়েছে মেয়ের মায়ের থেকে। তারপরেও যদি কোন বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিবাহ দেন তাহলে মেয়ের অভিভাবক বাবা ও মাকে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আলফাডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

(টিইউ/এএস/জুলাই ১০, ২০২৪)