তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে ৭ বছরের এক ছেলে শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এঘটনায় ভূক্তভোগি ওই শিশুর মা আকু ফকিরকে (৪২) আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর পশ্চিমপাড়া আদর্শ গ্রামে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। 

গোপালগঞ্জ সদর ‍উপজেলার হরিদাসপুর পশ্চিমপাড়া আদর্শ গ্রামে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে থাকেন সিমা বেগম। তিনি দিনের বেলায় অন্যের বাড়িতে কাজ করতে বেরিয়ে যান। সারাদিন বাচ্চাদের রেখে যান ভাইয়ের বউ তানিয়ার কাছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে আদর্শ গ্রামের দোকানে টিভিতে কার্টুন দেখছিলো বলৎকারের শিকার ওই শিশু। তাকে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় প্রতিবেশি আকু ফকির। তারপর ওই শিশুর হাতমুখ বেধে বলৎকার করে। তার আত্মচিকারে এলাকাবাসি জড়ো হয়ে আকুকে ঘরের মধ্যে বেধে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই আকু কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

হরিদাসপুর ইউনিয়নের ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী সদস্য কচি খানম বলেন, সন্ধ্যায় শিশুটির মা তার ছেলে বলৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ নিয়ে আসে। আমি ওই শিশুটির সাথে কথা বলেছি। তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার বর্ণনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে নিযে আকু ফকিরের মুখোমুখি করি। আকু তা অস্বীকার করে। আমি ন্যাক্কারজনক এঘটনার তীব্র নিন্দা এবং আকুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে সিমা বেগম নামে একজন অভিভাবক তার ছেলেকে নিয়ে থানায় আসেন। আমরা সকল ঘটনার বর্ণনা শুনে বলৎকারের মামলা রুজু করেছি। আসামি আকু ফকির ঘটনার পর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২৪)