স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ব্যাংকের তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ ঘটনা ঘটেছে ব্যাংকটিতে। চট্টগ্রামের তিনটি শাখার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স এবং মুরাদ এন্টারপ্রাইজকে এ ঋণ দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দুদক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।

তবে চিঠিটি ঠিক কবে পাঠিয়েছে তা জানা যায়নি। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণের সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন অথবা অডিট প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফটোকপি এবং অনুসন্ধানকালে প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

২০২২ সালে ব্যাংকটির এ বেনামি ঋণের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সব ঋণের নথিপত্রে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সময় এ সব ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসব ঋণ ফেরত অথবা খেলাপি করতেও বলা হয়েছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসব নতুন ঋণের মাধ্যমে পুরোনো ঋণের অর্থ পরিশোধ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা এবং ইসলামী শরিয়াহ পরিপন্থী। এছাড়া বিনিয়োগের বিপরীতে মালপত্র না থাকায় এসব বিনিয়োগ হয়ে উঠে ঝুঁকিপূর্ণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগের অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার দায়-দায়িত্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং শাখা ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তায় এর দায়।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২৪)