শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প কর্মকর্তাদের অনীহা আর অবহেলায় প্রায় পাঁচশো হেক্টরের বেশি জমিতে বছরের তিন মৌসুমে সেচের পানি সরবরাহ করা যাচ্ছিলো না। তাতে ক্ষতির মুখে পড়েন হাজার হাজার কৃষক। বাড়তি টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দিতে হতো। তাতে যেন' খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি' অবস্থা। শেষ পযর্ন্ত উপায়ন্ত না দেখে শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের শতাধিক মানুষ রবিবার ভোর থেকে এস-নাইন-কে খালের মধ্যে জমে থাকা দীর্ঘদিনের আগাছা, কলাবাগানসহ সব আবর্জনা পরিষ্কার করেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া খাল পরিষ্কার শেষে উচ্ছসিত গ্রামবাসী গরুর মাংস ও খিচুড়ির আয়োজন করেন।

মনোহরপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, এস-নাইন-কে সেকেন্ডোরি খালের টি-৮, ৯ ও ১০ টার্সারি খালের আওতায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় খালকুলা, পাঠানপাড়া, হেতামপুর, হাজরামিনা, বিজুলিয়া, মনোহরপুর, দামুকদিয়া সহ কয়েকটি গ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সেচসুবিধা দানের জন্য তৎকালিন পাকিস্তান আমলে খালগুলো খনন করা হয়। কিন্তু তিনটি মৌসুমের কোনটিতেই বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সেচের পানি সরবরাহ দিতে পারেনা।

মনোহরপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মিন্টু জানান, কৃষকরা কয়েকবছর ধরে একইভাবে কিছু অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করলেও তা সংস্কার না করায় আবার আগাছা ও ময়লা অবর্জনায় পানি সরবরাহের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মাসের পর মাস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে তারা বাধ্য হয়েই কিশোর, যুবক, বয়স্ক সবাইকে নিয়ে লেগে যান কাজে।

(এসআই/এসপি/জুলাই ০৭, ২০২৪)