সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : আগের দিন কাজি অফিসের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দেয় স্ত্রী। পরের দিন স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ করে তার মুখমন্ডল ঝলসে দেয়। এসিড নিক্ষেপের ফলে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য গৃহবধুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মনজাত গ্রামে। স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের পর স্বামী হুমায়ুন কবির বাকি দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মনজাত গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যার সাথে একই উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাসকা গ্রামের জুবেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাকির রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীতে খুব একটা বনিবনা হচ্ছিলনা।

এসিডে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে গৃহবধু গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, দীর্ঘদিন ঘর সংসার করলেও তার স্বামী হুমায়ুন কবির বাকি নানা ভাবে অত্যাচার উৎপীড়ন করত। শারিরিক ভাবেও অনেক দুর্বল ছিল বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়া সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রেও হুমায়ুন কবির বাকি অক্ষম বলে তিনি দাবি করেন। তাই জীবনের ভবিষতের কথা চিন্তা করে গত ৪ জুলাই কাজি অফিসের মাধ্যমে স্বামী হুমায়ুন করিব বাকিকে তালাক দেন। এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান হুমায়ুন কবির বাকি।

গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন জানান, হুমায়ুন কবির বাকি ব্রাহ্মনজাত গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর সুযোগ বুঝে স্ত্রীর মুখ মন্ডলে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক পিপিএম (সেবা) জানান, ঘটনার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখান থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারের পর কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাছাড়া ব্রাহ্মনজাত গ্রামের ঘটনাস্থল থেকে এসিড নিক্ষেপের যন্ত্র (সিনিস) জব্দ করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে গৃহবধূর স্বামী হুমায়ুন কবির বাকি পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(এসবি/এসপি/জুলাই ০৬, ২০২৪)