আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানব সভ্যতার ইতিহাসের সাথে হরিণ জড়িয়ে আছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িতো। সেই হরিণই এখন সবার ক্ষতির কারণ হচ্ছে। হরিণের উৎপাতে অতিষ্ঠ দক্ষিণ কোরিয়ার আনমা দ্বীপের একটি গ্রাম। বেড়া দিয়েও এসব হরিণ থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না ফসল ও গাছপালা। এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামবাসী। এমন অবস্থায় হরিণকে ক্ষতিকর বন্যপ্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাসিন্দারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার আনমা দ্বীপে অবস্থিত ওই গ্রামটি দিনের বেলা শান্তিপূর্ণ হলেও, সন্ধ্যা পেরিয়ে আঁধার নামলেই, গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দেয় উৎকণ্ঠা। রাত হলেই, গ্রামটি পরিণত হয় হরিণের অভয়ারণ্যে। অবাধ বিচরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল ও গাছপালা। বাধ্য হয়ে বাড়ি ও ফসলী জমিতে বেড়া দিয়েও রেহাই পায়নি গ্রামবাসী। হাল ছেড়ে দেয়া গ্রামবাসীরা বলছেন, হরিণ নির্মূল ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

আনমা দ্বীপের গ্রাম্যনেতা জ্যাং জিন ইয়াং বলেন, ‌‘এটা বলতে আমার খারাপ লাগছে। কিন্তু আমরা হরিণের উৎপাত থেকে মুক্তি চাই। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, এদের হত্যা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই।’

আরেক গ্রামবাসী হান জিওং রাই বলেন, ‘আমি আর এটা সহ্য করতে পারছি না। যদি কেউ এগুলোকে ধরে দূর কোথাও নিয়ে যেত, তাহলে আমি খুবই খুশি হতাম।’

গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলছেন, শুধু ফসল নয়, এত সংখ্যক হরিণের উৎপাতে অতিষ্ঠ জনজীবন।

এদিকে হরিণের খামার পরিচালনাকারী ক্যাং দা রিন বলেন, হরিণের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায়, চেতনানাশক ব্যবহার করে এদের ধরা অসম্ভব বলে জানান তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় হরিণ হত্যা নিষিদ্ধ। তাই হরিণকে ক্ষতিকর বন্যপ্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গ্রামবাসীর আবেদনটি বিবেচনা করছে সরকার। এতে হরিণের সংখ্যা কমবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। আনমা দ্বীপে প্রথমবারের মতো হরিণ দেখা যায় ১৯৮৫ সালে। সূত্র : জোংআং ইলবো

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২৪)