তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট উদ্ধার করায় শিক্ষককে ডিউটি থেকে অব্যহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন মোল্লা বৃহস্পতিবার (৪ জুন) কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী আশরাফ উদ্দিন মোল্লা বলেন, গত ২ জুলাই জেলার কোটালীপাড়া-২ কেন্দ্রের টিটি স্কুল ভেন্যুর ৪০৭ নং কক্ষে কক্ষ প্রধান হিসেবে আমি ডিউটি করছিলেন। ওই কক্ষের ৫ পরীক্ষার্থী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেটের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করছিলো। আমি নকলে বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট উদ্ধার করি। সেটগুলো ভেন্যুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার রায়ের কাছে জমা দেই। পরে আমি বিষয়টি হল সুপার ললিত কুমার বৈদ্য, সংযুক্ত কর্মকর্তা ও কোটালীপাড়া উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোল্লাকে অবহিত করি। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন না করে মোবাইল সেট ফেরত দেওয়া হয়। যুব উন্নয়ণ কর্মকর্তা কেন্দ্র সুপারের প্ররোচণায় আমাকে ৪ জুনের পরীক্ষার ডিউটি থেকে অব্যহতি দেন। আমি যাতে নকল বন্ধ করতে না পারি সে কারণে আমাকে ভেন্যু কেন্দ্রের ডিউটি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যুব উন্নয়ণ কর্মকর্তার কাছে আমাকে অব্যহতি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বলে আমাকে জানান। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটি না করে হল সুপারের কক্ষে রসনা বিলাস করে সময় কাটান। তদন্ত করে টিটি স্কুল ভেন্যু ও কাজীমন্টু কলেজ কেন্দ্রে নকল করতে যারা সহায়তা করছেন তাদের অপসারণ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোল্লা বলেন, ওই শিক্ষক কোন মেবাইল উদ্ধার করেন নি। কিংবা ওই মেবাইল কারো কাছে তিনি জমাও দেন নি। তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। উল্টো ওই শিক্ষক নিয়ম ভেঙ্গে হলের মধ্যে নিজের মোবাইল ব্যবহার করেছেন। তিনি প্রতি বছর পরীক্ষার ডিউটিতে এসে বিভিন্ন রকম ঝামেলা সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই তার ডিউটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনূর আক্তার বলেন, আমরা আজ শুক্রবার ওই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২৪)