নবী নেওয়াজ, পাবনা : পাবনা সদর উপজেলা দোগাছি ইউনিয়নের সদিরাজপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন তার মেয়ে জিম খাতুন (২১) কে একই ইউনিয়নের উত্তর কোমরপুর গ্রামের মধু প্রামাণিকের ছেলে আমিরুল প্রামানিক (২৫) এর সাথে ইসলামী শরীয় মোতাবেক বিবাহ দেন বিবাহের পর থেকে সংসার জীবনে নানা রকমের যৌতুক নিয়ে স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হতো জিম খাতুন। জিম খাতুনের নাফিজা খাতুন (১০ মাস) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৩ জুন সকালে আমিরুল প্রামানিক তার শশুর আনোয়ার হোসেনকে এসে বলে আপনার মেয়ে (জিম) কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদ পাওয়ার পর থেকে আনোয়ার হোসেনের পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১৪ জুন তারিখে পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাবনা সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর ও আনোয়ারের আত্মীয়-স্বজন কোমরপুরের মেম্বার শাহজাহানের কাছে গেলে আমিরুল প্রামানিকের আত্মীয়-স্বজন ৩ দিনের সময় নেয়। ৩ দিন পরেও যখন উদ্ধার হয়না তখন পাবনা সদর থানা ২৪ জুন ২০২৪ তারিখে একটি মামলার রুজু হয়। মামলার রুজু হলে মামলায় উল্লেখিত ২জন আসামি আদালত থেকে জামিন নেয়। অপর ১নং আসামি (আমিরুল) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও নিখোঁজ জিম খাতুন উদ্ধার হয়নি। জিম খাতুন এর পরিবারের আশঙ্কা জামাই আমিরুল তার কন্যা জীম খাতুনকে হত্যা করে গুম করেছে তার জামাই আমিরুল। তাই জিমের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা আনোয়ার হোসেন মেয়ে জিম খাতুনের ছবি হাতে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে আকুতি জানিয়ে বলেন আমি আমার মেয়ের সন্ধান চাই।

এ বিষয়ে জামাই আসামী আমিরুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মাসুদ আলম এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী গ্রেফতার হয়েছে অতি দ্রুতই ভিকটিম কে উদ্ধার করতে পারবো বলে আশা করি।

(এনএন/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২৪)