স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইরের বাড়ৈভোগ খানকার মোড় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রিয়াদ ও হৃদয়ের অত্যাচারে এক প্রকার আতঙ্ক নিয়ে এলাকায় বসবাস করছেন এলাকাবাসী। মাসদাইর বাড়ৈভোগ খানকার মোড় গাইবান্ধা বাজার ফারিয়া গার্মেন্টস এলাকায় রিয়াদ ও হৃদয় কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ভাংচুর তান্ডব চালান এই বাহিনীর সদস্যরা। এদের বিরুদ্ধে বার বার ফতুল্লা থানায় অভিযোগ হলেও এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে তারা। প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে এমন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।    

নারায়ণগঞ্জে মাসদাইরের খানকার মোড় এলাকায় রিয়াদ ও হৃদয় বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ খানকার মোড় সহ আশে-পাশের এলাকার বাসিন্দারা।এলাকায় এই বাহিনীর প্রধান রিয়াদ ও হৃদয় এর নির্দেশে প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসার মতো ভয়ংকর অপরাধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন এই বাহিনীর সদস্যরা।

অসহায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা মোবাইল সহ সাথে থাকা মূল্যবান জিনিস জোরপূর্বক রেখে দেয় তারা। গার্মেন্টসের কর্মজীবী মেয়েদের জোরপূর্বক গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে।গাইবান্ধা বাজারে দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করার পরে চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন।আর এই কারনে দোকানদারা ঠিকমতো তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে না। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কর্মজীবী মানুষেরা তাদের ভয়ে কিছু কাউকে বলতে পারে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়,এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহরা দিয়ে থাকে। এতে করে এলাকায় তাদের অস্তিত্ব জানান দেয় এলাকাবাসীকে। তাদের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করছে এই পর্যন্ত তারাই হামলার স্বীকার হয়ে এখন কেউ পঙ্গু বা কেউ অচল হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন। তাদের এমন কর্মকান্ডে বারবার ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রকার সুফল পাননি এলাকবাসী।

কিছুদিন পূর্বে তারা খানকার মোড় এলাকায় এক বাড়িতে হামলা চালালে এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে এক সংবাদ কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হয় এই বাহিনীর প্রধান রিয়াদ ও হৃদয়ের কাছে। পরবর্তিতে ঐ সংবাদ কর্মী ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে এই অভিযোগের কথা তারা জানতে পেয়ে ঐ সংবাদ কর্মীকে ফোনে নানা করম হুমকি প্রদান করে এবং অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে তাকে প্রানাশের হুমকি প্রদান করে রিয়াদ ও হৃদয়।

মাদক ব্যবসা ,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, কিশোর গ্যাং পরিচালনা ও সংবাদ কর্মীকে লাঞ্ছনার ব্যপারে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন,আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান অব্যহাত রেখেছি ।আশা করছি খুব দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

(এমএস/এএস/জুলাই ০৩, ২০২৪)