স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্যে শিরোপাজয়ী ক্যাচ নেন সূর্যকুমার যাদব। ইনিংসের শেষ ওভারে এই ক্যাচেই বিপজ্জনক ডেভিড মিলারের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ফলে শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণও মেলেনি। টিভি রিপ্লে দেখে আম্পায়ার আউট দিলেও ক্যাচটি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সূর্য।

হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২০তম ওভারের প্রথম বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারেন মিলার। বাউন্ডারি লাইনে দৌড়ে এসে সেই ক্যাচ নেন সূর্যকুমার। এরপর বাকি ৫ বলে মোটে ৮ রান নিতে পেরেছিল প্রোটিয়ারা। মূলত ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম উপলক্ষও এই ক্যাচ।

তবে এই ক্যাচকে ঘিরে বিতর্ক থামছেই না। যদিও সূর্যের দাবি, সবকিছু অনেক দ্রুত ঘটেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সূর্যকুমার বলেন, ‘রোহিত (ভাই) সাধারণত কখনই লং-অনে দাঁড়ান না কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি সেখানে ছিলেন। তাই যখন বল আসছিল, এক সেকেন্ডের জন্য আমি তার দিকে তাকালাম এবং সে আমার দিকে তাকাল। আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম এবং আমার লক্ষ্য ছিল বলটি তালুবন্দি করা। সে (রোহিত) কাছাকাছি ছিল, আমি তার দিকে বল ছুঁড়ে দিতাম কিন্তু সবকিছু চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটেছিল, যা আমি বোঝাতে পারব না।’

টপ-অর্ডার এই ব্যাটার যোগ করেন, ‘এই ক্যাচের জন্য আমি প্রচুর পরিমাণ রিয়েকশন পাচ্ছি, মানুষ ফোন করছে, মেসেজ করছে। আমার ফোনে এক হাজারেরও বেশি না পড়া হোয়াটস-অ্যাপ বার্তা রয়েছে৷ সেই ক্যাচ পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি সেই পাঁচ সেকেন্ডের খেলায় ছিলাম।’

এদিকে বিভিন্ন সময় অনলাইনের বিভিন্ন ফুটেজ, প্রমাণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো বাউন্ডারি দড়ি স্পর্শ করেছেন সূর্য।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন আমি বলটি ঠেলে দিয়ে ক্যাচটি নিলাম, আমি জানতাম যে আমি দড়ি স্পর্শ করিনি। আমি সতর্ক ছিলাম যাতে যখন আমি যখন বলটিকে ভিতরে ঠেলে দিই, তখন আমার পা দড়িতে যেন স্পর্শ না করে। আমি জানতাম এটা পরিষ্কার ক্যাচ ছিল। যদি বল ছক্কায় হয়ে যেত, তাহলে সমীকরণ হতো ৫ বলে ১০ রানের। আমরা হয়তো জিততে পারতাম, তবে ব্যবধান আরও কাছাকাছি হতো।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ০২, ২০২৪)