ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে জনবসতিপূর্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। পোল্ট্রি খামারের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে আশেপাশের  বসতবাড়িগুলোতে বসবাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা। এ ঘটনায়  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া) , জেলা কার্যালয় (পাবনা), উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব (১২) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে রবিবার (৩০ জুন) বিকেলে ওই পোল্টি খামার পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার কর্মকর্তারা।

জানা যায়, পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে জনবসতিপূর্ন এলাকায় সিনহা পোল্টি খামার নামে একটি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগরের বাসিন্দা আরজ আলী সরদার। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলা ওই পোল্ট্রি খামারের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে আশেপাশের বসতবাড়িগুলোতে বসবাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা। খামারের ১০ থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে রয়েছে মসজিদ। খামারের তীব্র দুর্গন্ধের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা। এলাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দেশের মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা এলাকায় টিকতে না পেরে ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান (জিয়া)। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই পোল্টি খামার পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পাবনা জেলা শাখার পরিদর্শক আব্দুল মমিন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে । পোল্ট্রি খামারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত পোল্টি খামারের মালিক আরজ আলী সরদার। স্থানীয়দের দাবি, জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকা থেকে অতি দ্রæত অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত এই পোল্ট্রি খামার স্থানান্তর করা হোক।

(এসকেকে/এএস/জুন ৩০, ২০২৪)