তাহের তারেক, সাভার : ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মহাসড়ক থ্রি হুইলারের দখলে। তিন চাকার এই যানটি মহাসড়কে অবাধে চলাচল করায় ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটছে। ঢাকা আরিচা মহাসড়কে লোকাল লেন ও মেনই লেন দুই লেন দিয়ে  অবাধে চলাচল করে থ্রি হুইলার। এতে করে পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে পরিবহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কোন রকমের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোন সিগনাল না দিয়েই রাস্তা পারাপার হয়। এতে করে আমাদের গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হয় আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। আমরা চাই থ্রি হুইলার যেন হাই-ওয়েতে না আসে। 

শ্যামলী বাসের এক চালক বলেন, থ্রি হুইলার চলাচলের কারণে হাইওয়েতে গাড়ি চালানো অনেক সমস্যা হয় অনেক সময় দেখে থাকি পুলিশ অনেক স্থানেই থ্রি হুইলার রেকার করে জরিমানা আদায় করে থাকে তারপরও এরা কেন হাইওয়েতে আসে বুঝিনা। আমরা পরিবহন চালকরা জোর দাবি জানাচ্ছি কম গতির এই গাড়িটি যেন হাইওয়েতে না আসে।

পরিবহন চালকদের কথা শুনে সরেজমিন বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেল যানজটের চিত্র। উল্টো পথে চলাচলের কারণে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন সাভার নিউমার্কেটের সামনে থানা স্ট্যান্ড বাজার রোডের মাথায় গেন্ডা স্ট্যান্ড রেডিও কলোনি ইউ টান হয়ে উল্টো পথে চলাচল করে। আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ ডি ইপিজে বলি ভদ্র বাজার জিরানী বাজার ও ধামরাই ডুলি ভিটা এসব স্ট্যান্ডে যানজটের একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়ায় থ্রি হুইলার।

থ্রি হুইলারের চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মহল্লার ভেতরে চলাচল করলে সারাদিনে গাড়ির জমা ও চার্জের টাকা পরিশোধ করার পর দেড়শ থেকে ২০০ টাকা থাকে আর হাইওয়ে চলাচল করিলে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা থাকে। এ কারণেই আমরা হাইওয়েতে চলাচল করতে বাধ্য হই আমরাও ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাই কখন পরিবহনের সাথে ধাক্কা লাগে কখনো পুলিশে ধরে তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয়।

জানা যায়, সাভার হাইওয়ে এবং ঢাকা জেলা পুলিশ মহাসড়কে রেকার পরিচালনা করে থাকে। সেখানে থ্রি হুইলারকে মামলা দেয়া হয়, মামলার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে থ্রি হুইলারটি চালক ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই মামলার ভাউচারটি দেখিয়ে হাইওয়েতে তিন দিন চলাচল করা যায়। এটি নাকি নিয়ম আছে।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, আমরা থ্রি হুইলারের ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর রয়েছি আগের চাইতে বর্তমান হাইওয়েতে থ্রি হুইলার অনেক কমেছে একমাত্র রোগী ব্যতীত কোন থ্রি হুইলার চলাচল করবে না। এবং আমাদের অভিযান চলমান থাকবো।

(টিটি/এসপি/জুন ৩০, ২০২৪)