তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী নিহতের মামলায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক মোঃ কামরুল হাসান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দশ দেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে আসামী করে মামলা দায়ের করার পর তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। তখন হাইকোর্ট তাকে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিন নেওয়ার আদেশ দেয়। তিনি আজ রবিবার গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৪ মে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় ওসিকুর সহ ৬ জন আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় চা-বিক্রেতা ছিলেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় ১৬ মে রাতে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজআজামন লুটুল ভূঁইয়াকে প্রধান আসামী করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০/৫০ অজ্ঞাত আসামী করে নিহত ওসিকুর ভূঁইয়ার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(টিবি/এসপি/জুন ৩০, ২০২৪)