স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেছেন, সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনে স্বাধীনতাবিরোধীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

বুধবার বিকেলে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে আয়োজিত বার্ষিক সিনেট সভায় বাজেট উপস্থাপন পরবর্তী বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করেছে। এই কোটাকে কেন্দ্র করে কোটা-বিরোধীরা ২০১৮ সালে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, উপাচার্যের বাড়িতে হামলা করেছে, তা নজিরবিহীন। আবার তারা (আন্দোলন) করছে।

অধ্যাপক জামাল বলেন, পবিত্র কোরানের সূরা আনফালের বলা আছে, যারা বিজিত বাহিনী হবে, তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের পাঁচ ভাগের চার ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। এক ভাগ থাকবে দুঃস্থ-এতিমদের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর যে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত হয়েছে। তাদেরকে কিছুই দেওয়া হয়নি। অথচ তারা ছিল এদেশের বিজিত বাহিনী।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন। কিছু না দিতেই তার সময় ফুরিয়ে যায়। ২০০৯ সালে তিনি দিতে শুরু করেছেন। তারপর ২০১৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করে। ২০১৮ সালে তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছেন, দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আমিও তাদের মতো জীবন দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থান ব্যবহার করে আবার যেন কেউ ‘অরাজকতা’ তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে ২০২৩ সালে নির্বাচন ছাড়াই সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন এই অধ্যাপক।

(ওএস/এএস/জুন ২৭, ২০২৪)