বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রভাষকের বিরুদ্ধে এক বিধবাকে স্টিলের পাইপ দিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিগত সাত বছর পূর্বে বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামের মৃত ফৈয়জদ্দীন মন্ডলের ছেলে সালেহ মোহাম্মদ ওয়াজেদ (৫৪) সাথে বালিয়াকান্দি (বাজার সংলগ্ন) মৃত এবিএম সিদ্দিক যৌথ ভাবে বালিয়াকান্দি পেঁয়াজ বাজারে দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের ভাড়া লেনদেনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই নির্মানাধীন ভবনে থাকা ভাড়াটিয়াদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রভাষক সালেহ মোহাম্মদ ওয়াজেদ (৫৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। নির্মানাধীন ভবনের নিচ তলা দোকান ঘর ছয় বছর যাবৎ তার দখলে রাখে। সালেহ মোহাম্মদ ওয়াজেদের সাথে আলোচনা করে বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান অবস্থায় দোকান ঘর ভাড়া দিলে ভাড়াটিয়ার সাথে দুর্ব্যবহার করে দোকান থেকে বের করে দেয়।

গত ১৫ জুন দুপুর দেড় টার সময় বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় এবিএম সিদ্দিকের স্ত্রী কামরুন্নাহার বিউটি (৩৬) এসে ভাড়াটিয়াদের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারণ এবং দোকানঘর বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিউটির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অর্তকিতভাবে চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি মারতে থাকে। তখন মাটিতে পড়ে গেলে স্টীলের পাইপ দিয়ে এলোপাথারীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। মারপিটে পরিহিত জামা কাপড় ধরে টানিয়া ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। তখন ডাক চিৎকার শুনে বাজারে থাকা উপস্থিত লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে।

এ ব্যাপারে কামরুন্নাহার বিউটি বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ প্রভাষক সালেহ মোহাম্মদ ওয়াজেদকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার রাজবাড়ী আদালতে প্রেরণ করে। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদীকে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী ও হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।

(একে/এসপি/জুন ২৩, ২০২৪)