স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহে আউশ ধান চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। তবে অনাবৃষ্টিতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে তাদের। পানি না থাকায় এখনো অনেক জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। আবার যেসব জমি রোপণ করা হয়েছে পানির অভাবে সেগুলো ফেটে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহে চলতি মৌসুমে ৪৪ হাজার ৫০০শত হেক্টর জমিতে আউস চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে অনাবৃষ্টির কারণে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের কৃষক গোলাম নবী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ৩ থেকে ৪ দিন পর পর পানি দিতে হচ্ছে। তা না হলে জমি ফেটে যাচ্ছে।

হরিণাকুণ্ডুর সাবেক বিন্নি গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে আউস আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। সেচ, হালচাষ, চারা রোপণ ও সারসহ জমি রোপণ করে বিঘা প্রতি প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গত বছর খরচ হয়েছিল বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকার মত।

মনিরুল ইসলামের নামের আরেক কৃষক বলেন, বৃষ্টি না নামায় অতিরিক্ত রোদের তাপে আমার আউসের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে চারা বেড়ে উঠছে না। এমন অবস্থায় বাড়তি টাকা খরচ করে স্যালো মেশিন দিয়ে ঘনঘন সেচ দিতে হচ্ছে। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না। আজ সেচ দিলে আগামীকাল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার ফলন ভালো পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় বলেন, আউস আবাদ পুরো আষাঢ় মাসের বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। আষাঢ় মাসেও যদি বৃষ্টি না হয়, তবে কৃষকদের খরচ বেড়ে যাবে। অনাবৃষিষ্টর কারণে আউস চাষিদের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ মৌসুমে আউসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

(একে/এসপি/জুন ২৩, ২০২৪)