তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভাঙচুর করেছেন ফরিদ আহম্মেদ লিটু। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এতে বাধা দিতে গেলে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। তাদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নে বানিয়ারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে কৃষক লীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ লিটু লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ মনির হাওলাদারের লোকজনের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় লালনের মুদি দাকান, লিয়াকত কাজীর মুদি দোকান, মনির হাওলাদারের মুদি দোকান, মাসুমের দর্জির দোকান, ছবেদ আলীর বিকাশ এজেন্ট ও মুদি দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাঁধা দিতে গেলে সাইজুদ্দিন সাখাওয়াত (৫৫), লিয়াকত কাজী (৪৮), মনির হাওলাদার (৪৫) সহ ৫জন আহত হয়। তাদের কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বানিয়ারি গ্রামের শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটু লোকজন নিয়ে মনির হাওলাদারের লোকজনের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভাঙচুর করেছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত কৃষক লীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ লিটু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি গতকাল সোমবার ঈদের নামাজ পড়ে খুলনা চলে আসছি। আজকে সকালে আমি এলাকায় ছিলাম না। হামলা, ভাঙচুর সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/জুন ১৯, ২০২৪)