মোহাম্মদ সজীব, ঢাকা : কেরাণীগঞ্জের বহুল আলোচিত ও আদালতে চাঁদাবাজির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডিবির ভূয়া সোর্স আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাজারিবাগ থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তার নামে হাজারীবাগ ও দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় ডিবির সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও মাদকের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি মামলায় ১ বছর ৬ মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও সে এতদিন কামরাঙ্গীচর ও হাজারিবাগ এলাকায় ডিবির সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও মানুষকে ভয় ভিতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতো। অবশেষে রায়ের ৪ বছর পরে থাকে হাজারীবাগ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

দৃশ্যমান কোন পেশা ও আয় না থাকলেও সে কিভাবে নিত্য নতুন গাড়ি ও আয়েশিজীবন যাপন করতো সেই বিষয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি আমির।

তবে সে জানিয়েছে, মূলত মানুষের ভয়কে কাজে লাগিয়ে সে ডিবির পরিচয়ে টাকা আয় করতো। আর এই অর্থ দিয়েই সে কয়েক মাস পর পর নতুন নতুন মোটরসাইকেল কিনতো। চাঁদাবাজির টাকায় সে আনন্দ ভ্রমণে যেত। বিমানে করে যেত কক্সবাজার! থাকতো ৫ স্টার হোটেলে!

পুলিশ বলছে তাকে প্রথম দেখাতে মনে হবে দেশের কোন বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু আসলে সে একজন প্রতারক।

পুলিশ সুত্র বলছে, মূলত মাসিক চাঁদাবাজি ও ডিবির সোর্স পরিচয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে সে প্রতিনিয়ত বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতো। তার ভয়ে কেও সাহস করে থানায় অভিযোগও দিতে পারতো না। সে কারণে সে হাজারীবাগ ও কেরানিগঞ্জের বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতংকের কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলো।

তার গ্রেপ্তারের খবরে ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ খুশিতে মিষ্টিও বিতরণ করে। তার গ্রেপ্তারের খবরে হাজারিবাগের গণকটুলির বাসিন্দারা আনন্দে মিষ্টিও বিতরন করেছেন।

এই বিষয়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশ বলছে, অপরাধি যেই হউক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। হাজারিবাগ থানা পুলিশ সর্বদা এসব ভূয়া র‍্যাব-ডিবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রতারকের বিষয়ে তাঁদের তথ্য দিতেও অনুরোধ জানায় পুলিশ।

(এস/এসপি/জুন ১৪, ২০২৪)