স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, 'আগে ছিল একদলের শাষন, এখন দেশে চলছে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদি ও কর্তৃত্ববাদী শাষন। বাংলাদেশকে লুটেরা ও মাফিয়া বাহিনা দখল করে রেখেছে। এ কারণে বিচার বিভাগ, আইনের শাষন ও জনগনের ভোটের অধিকার নাই, বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা নাই, সব টাকা লুট হয়ে গেছে। এজন্য দেশের মানুষ অভাব অনটনে আছেন। এতে একটি পরিবার একজন ব্যক্তি লাভবান হচ্ছে '।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে মোংলার দিগরাজ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা প্রদানের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই অভিযোগ করেন।

বিনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও ত্রাণ পুনর্বাসন কমিটির এই সদস্য সচিব আরও বলেন, দেশে এত বড় ঘূর্ণিঝড়ের সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে উপকূলবাসী যুদ্ধ করে টিকে আছে। অথচ সরকারি দলের নেতাদের খবর নাই। তার আসবেননা, ওনাদের আপনাদের প্রয়োজন নাই। কারণ জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা নাই। ওনাদের সম্পৃক্ততা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের দাদা বাবুদের সাথে।

এই দেশের গনতন্ত্র, ভোটের অধিকার আদায় ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করছে, সেই মুহূর্তে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশের মাটিতে স্বাভাবিক রাজনীতি করতে পারছেনা। নির্বাচনের আগে হাজার হাজার নেতা-কর্মিদের জেলে বন্দি রেখে দাদা বাবুদের প্রেসক্রিপশনেই আওয়ামী লীগ নির্বাচন করেছে, উল্লেখ করে বিএনপি নেতা এ্যানি বলেন, স্বাধীনতার পর ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত এই দেশে মানুষ শান্তিতে ছিলনা, ছিল দুঃশাসন, অত্যাচার ও নির্যাতন। তখন ওই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছে, তখন ৪০ হাজার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মিদের হত্যা করা হয়েছে। একই দুঃশাষনের বিরুদ্ধে আমরা এখন যারা আন্দোলন করছি, আমাদের ওপরও অত্যাচার, নির্যাতন ও নেতা- কর্মীদের জেলে বন্দি করে রাখা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাড়িয়ে বিএনপির এই নেতা ছাড়াও এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক আকরাম হোসেন তালিম ও যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তারা এসময় বলেন, দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ভেটের অধিকার, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদীয় গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়ে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে যে লড়াই সংগ্রাম চলছে, সেই লড়াই অব্যাহত থাকবে।


(ওএস/এএস/জুন ১২, ২০২৪)