কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদকে প্রত্যাহার ও নিরীহ গ্রামবাসীকে মিথ্যা মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গত রবিবার রাত সোয়া একটা থেকে থানার প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শত শত নারী পুরুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।

নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমা ও সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে সারা রাত থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট করলেও গ্রেফতার নজরুল খন্দকারকে মুক্তি দেয়নি পুলিশ।

উল্টো ঘর ভাঙ্গা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী শহরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে পৌর শহরে ঝাড়ু মিছিল বের করে। থানার সামনে থেকে বের হওয়া ঝাড়ু মিছিল টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান ওসির কারণে কলাপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। ষথচ হত্যা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমা বলেন, তার সাথে সারাদিন যে ছেলেটি ছিল, তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তারা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলেও ওসি তাদের সাথে দেখা করেনি। কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে ওসি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে তা স্পষ্ট না। তাই সারা রাত নিরীহ এক কর্মীর মুক্তির জন্য থানার সমানে বসে ধর্মঘট করেছেন।

সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওআবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন বলেন, একজন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সমর্থক নারী পুরুষরা সারা রাত থানার সামনে রাস্তায় অবস্থান করে। অথচ তাকে থানার ভিতরেও ঢুকতে দেয় নি পুলিশ। একজন থানার ওসি এমন ব্যবহারে বিক্ষুব্ধ মানুষ সকালে ঝাড়ু মিছিল করে। তার অবিলম্বে ওসির প্রত্যাহারের দাবি করেন প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে।

নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, কলাপাড়া থানার ওসি কাউকেই সন্মান করে না। নিরীহ মানুষের কাছ থেকে তার নির্ধারিত পুলিশ সদস্য সিভিল পোশাকে চাঁদা আদায় করছে। কাল রাতে নিরীহ একজনকে ধরে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। তার এ হয়রানির কারনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। অবিলম্বে তাকে কলাপাড়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করবেন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন।

কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে দুই পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, এজাহারভূক্ত এক আসামিকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিতে তারা থানা ঘেরাও করে। পুলিশ ধৈর্য ধরে বিষয়টি দেখেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।

(এমকেআর/এসপি/জুন ১০, ২০২৪)