কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : ব্যালট পেপারে নিজ হাতে সীল মেরে ছিড়ে ফেলার অফিযোগে সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আজিজুল হক-কে গ্রেপ্তারের পর নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে চার দিনধরে আজিজুল হক নেত্রকোণা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন। কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদে ওই নির্বাচনে ১৩ নং পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার বেজগাঁও গ্রামের মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে আজিজুল হক।

জানা যায়, নির্বাচনের দিন তিনি বেলা ১ টার দিকে কয়েকটি ব্যালট পেপারে নিজ হাতে উল্টা-পাল্টা সীল মারতে থাকেন। এ সময় আনসার সদস্য রিয়াদ হোসেন এঘটনাটি দেখে প্রতিবাদ করলে সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকতা আজিজুল হক বেলট পেপারের বই থেকে ১৪টি পাতা ছিড়ে ফেলে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনাটি পুলিশের মাধ্যমে কর্তব্যরত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান সংক্ষিপ্ত বিচার আদালত নির্বাচনী এলাকা কেন্দুয়া উপজেলা জানতে পেরে ঘটনা স্থলে ছুটে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোছলেম উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর ৭৭ (২) ধারা মোতাবেক কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ জিয়াউল হক জানান সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আজিজুল হক কারাগারে রয়েছেন। তাকে ৫ জুন নির্বাচন চলাকালীন সময়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, নির্বাচনের দিন বেলা ১ টার দিকে সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিজ হাতে ব্যালট পেপারে উল্টা-পাল্টা সীল মেরে ১৪টি পাতা ছিড়ে ফেলেন। পরে কর্তব্যরত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়। নির্বাচনের দিন রাতে প্রিজাইডিং কর্মকতা মোছলেম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত চলছে, তবে আদালতের নির্দেশে আজিজুল হক কারাগারে রয়েছেন।

(এসবিএস/এএস/জুন ০৮, ২০২৪)