সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ৫ টি গ্রামের এক হাজার পরিবার ১৩দিন ধরে দিনে দু’বার করে জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে ঘরবাড়ী। একমাত্র আয়ের উৎস চিংড়ি ঘের, পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় সর্বশান্ত উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া, রোমজাইপুর, সাতপুকুরিয়া, আড়ুয়াডাঙ্গা, জিগিরমোল্লা গ্রামের মানুষের জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে দূর্বিসহ জীবনযাপন করছে। এই পঁচটি গ্রামের প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতে প্রশাসনে পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া মাত্র তিন লাখ টাকা। অপ্রতুল এই বরাদ্দে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত না হওয়ায় এখন জীবন ও জীবিকার তাগিদে স্থানীয়রা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।

রামপাল উপজেলার সিংগড়বুনিয়া, রোমজাইপুর, সাতপুকুরিয়া, আড়ুয়াডাঙ্গা, জিগিরমোল্লা গ্রামের চারিদিক দিয়ে বয়ে গেছে মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌচ্যানেল ও মাদারতলা নদী। এই ব-দ্বীপের মধ্যেই এই চাঁটি গ্রামের মানুষের বসবাস। প্রতিট প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয় এলাকাটি। গত ২৭ মে ঘুর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ৫টি গ্রাম আবারো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস হাজার-হাজার হেক্টর চিংড়ি ঘের, পুকুরের মাছ ভেসে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়। প্রতরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় এই চাঁরটি গ্রামের এক হাজার পরিবার ১৩দিন ধরে দিনে দুইবার করে জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে ঘরবাড়ী। ঘূর্ণিঝড়ের পর সরকারি তিন লাখ টাকা বরাদ্দে প্রতিরক্ষা মেরামতের অগ্রগতি না হওয়ায় লোকজন জীবন ও জীবিকার তাগিদে স্থানীয়রা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাগেরহাট জেলা সদস্য মোল্লা আ. সবুর রানা, ইউপি সদস্য ফকির গিয়াস উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয় এই পাঁচটি গ্রাম। গত ১৩ দিন ধরে আমরা দিনে দু’বার করে জোয়ারের পানিতে বাড়ীঘর নিমজ্জিত হচ্ছে। এসব গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকা মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। এই অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মানের আকুতি জানান স্থানীয়রা।

(এসএসএ/এএস/জুন ০৬, ২০২৪)