শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : মাত্র ৩৭১ ভোট পেলেছেন,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ঘটনা ঘটেছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ৩৭১ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছেন। প্রায় দুই লাখ ভোটের মধ্যে এই প্রার্থী ৭৩ কেন্দ্রে  ভোট পেয়েছেন ৩৭১টি।  তার আনারস প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৩৭১। যা দেখে অবাক ক্ষমতাশীল দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আনিসুর রহমান জানান, কোনো প্রার্থীর জামানত ফিরে পেতে হলে মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগের বেশি অর্থ্যাৎ প্রাপ্ত ভোটের ১৫ শতাংশের উপর পেতে হয়। কোনো প্রার্থী তা না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৬৫ হাজার ৪৪৭টি। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রার্থীকে পেতে হবে ৮ হাজারের অধিক ভোট।

এবার এ উপজেলা থেকে তিনজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজামুল হাসান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট। আর বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭১ ভোট।

এবার উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৪ হাজার ৭৫জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৩৩ জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ৯৬ হাজার ২৩৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, দশদিন আগেই এই নির্বাচন থেকে সরে এসে ঢাকায় অবস্থান করছি। তেমন প্রচার প্রচারণা করিনি। আমার এলাকার নিজামুল হাসান নামের অন্য আরেক প্রার্থী থাকায় এমন সীদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

নির্বাচন থেকে সরে আসার বিষয়টি গণমাধ্যমে না জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কিছু অন্ধ ভক্ত আছে, তারাই বিষয়টি ফেইসবুকে দিয়েছেন। নির্বাচনের মাঠে থাকলে আমি অনেক ভোট পেতাম। এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাইনা।

প্রসঙ্গত, আতাউর রহমান জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।

(এসএএস/এএস/জুন ০৬, ২০২৪)