শেখ ইমন, শৈলকুপা : বাবা অসুস্থ, করতে পারেন না কোন কাজ। তাই বাধ্য হয়েই ১০বছর বয়সী সাকিবুল হাসানের উপর এসে পড়েছে সংসারের দায়িত্ব। বন্ধ হয়েছে লেখাপড়া। নাম লিখিয়েছে শিশুশ্রমে। রোজগারের আশায় একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজ করছেন সাকিবুল। যা আয় করছেন তা দিয়ে কোনরকমে চলছে সংসার। তা চোখে পড়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলামের। খোঁজখবর নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাকিবুলের বাবা-মাকে ডেকে পাঠান তার দপ্তরে। শোনেন সকল সমস্যার কথা। তাৎক্ষনিক আর্থিক সহযোগিতা করেন। দায়িত্ব নেন সাকিবুলের লেখাপড়ার। যেকোন সমস্যায় সাকিবুলের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ইউএনও। সাকিবুল শৈলকুপা উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে।

নাজির হোসেন বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আয় রোজগার করতে পারিনা। তাই সাকিবুলের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজে দিয়েছি। ওর অল্প রোজগারেই কোন রকমে সংসার চলছে। লেখাপড়া করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। থাকলে এত ছোট মানুষকে কাজে পাঠাতাম না।’

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলাম বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় সাকিবুল একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজ করতো। তা নজরে আসলে সাকিবুলের বাবা-মাকে ডাকা হয়। সকল সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষনিক আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পরবর্তীতে তার যেকোন সমস্যায় উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে। তবে শুধু সাকিবুলই না, শৈলকুপায় আরও অনেক শিশুশ্রমিক রয়েছে। তালিকা করে পর্যায়ত্রমে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

(এসআই/এসপি/জুন ০৬, ২০২৪)