রূপক মুখার্জি, নড়াইল : এই প্রথমবারের মতো প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র কাহিনীকার ও চিকিৎসক নীহাররঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষির্কী জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়েছে।

বরেণ্য লেখকের জন্মবার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে ডা: নীহাররঞ্জন গুপ্তের পৈত্রিক বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনায় এই প্রথম বারেরমতো জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ডা: নীহাররঞ্জন গুপ্ত ফাউন্ডেশন এবং নড়াইল জেলা সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে দিনব্যাপি নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, লেখকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। বিকালে নীহাররঞ্জন গুপ্তের জীবন ও কর্মের ওপর সেমিনার, নীহাররঞ্জন সড়ক উদ্বোধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্বার বিতরণ ও কবিগানের আসর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও নীহাররঞ্জন গুপ্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সাউদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শরীফ আশরাফুজ্জামান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন জীবন কৃষ্ণ সাহা, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসান, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল হক, মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান, চারণকবি রওশন আলী, ডা: নীহাররঞ্জন গুপ্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সুজন রহমান, সংগঠক বিপ্লব রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা: নীহাররঞ্জন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এস এম আকরাম শাহীদ চুন্নু।

উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল নীহাররঞ্জন গুপ্ত ১৯১১ সালের ৬ জুন কোলকাতা জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত, মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। তাঁর সহধর্মিণীর নাম কনক এবং তিনি চার কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। ডা: নীহা রঞ্জন গুপ্তপ্রায় দু'শতাধিক উপন্যাস রচনা করেন। প্রায় এক একর ৩০ শতক জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত ডা: নীহাররঞ্জন গুপ্তের পৈত্রিক বসতবাড়িকে যাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯৮৬ সালের ২০ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

(আরএম/এসপি/জুন ০৬, ২০২৪)