তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ঘুমন্ত স্ত্রী ও ছেলের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত ওসমান শেখের (৪২) বিরুদ্ধে।

দগ্ধ হেলেনা আক্তার(৩৬) ও তার ছেলে অন্তরকে (১১) বুধবার (৫ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের গায়ে আগুন দেওয়া হয় বলে হেলেনার ভাই ইমরান হোসেন জানিয়েছেন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর উপজেলার রাজৈর হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠান।

অভিযুক্ত ওসমান শেখ মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মিজান শেখেরে ছেলে।

মুকসুদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বামী ওসমান শেখের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হেলেনা ও তার সন্তানকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হেলেনার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। ছেলের হাত ও পা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে । দুজনই শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।

হেলেনার ভাই ইমরান জানান, আমার বোন হেলেনাকে মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের ওসমান শেখের সাথে ১৪ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে সে আমার বোনকে বিভিন্ন সময় মারধর করে আসছিল। স্বামী নেশাগ্রস্ত হওয়ায় আমার বোন আমাদের বাড়ি গোহালা ইউনিয়নের মনিরকান্দি গ্রামে থাকত। মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন হেলেনা। রাত ১টার দিকে হেলেনার স্বামী প্রথমে জানালা দিয়ে তাদের ওপর পেট্রোল ছুড়ে মারেন। এরপর আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে সবাই এগিয়ে যান। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

(টিবি/এসপি/জুন ০৬, ২০২৪)